জেমস আব্দুর রহিম রানা : গত ৬ অক্টোবর শুভ মহালয়ার মধ‍্য দিয়ে শুরু হয়েছে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রাণের উৎসব, দুর্গাপূজা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে দুর্গাপূজা মানেই সার্বজনীন উৎসব। তারা বিশ্বাস করেন দেবী দুর্গা আমাদের মাঝে মাতৃরূপে বিরাজ করেন, তিনি সবার মা। মা সন্তানের সুরক্ষাদায়িনী, সব অপশক্তি বিনাশিনী, মুক্তিদায়িনী, আনন্দময়ী দুর্গা। মায়ের কাছে সব সন্তান সমান, সব সন্তানের কাছে মা অনন্য, তাই মা দুর্গা সর্বজনের, দুর্গাপূজা সার্বজনীন।

শাস্ত্রকথা বা পৌরাণিক কাহিনী : হিন্দু পুরাণে আছে, ভগবান ব্রহ্মা মহিষাসুর দৈত্যের কিছু ভালো কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট হয়ে বর দিতে চেয়েছিলেন, মহিষাসুর ‘অমর’ বর প্রার্থনা করেছিল, ব্রহ্মা সরাসরি অমরত্ব বর না দিয়ে বর দিলেন, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কোনো পুরুষের হাতে মহিষাসুরের মৃত্যু হবে না। ভগবান ব্রহ্মা, যিনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করেছেন, তার কাছ থেকে এমন বর পেয়ে মহিষাসুর ধরাকে সরাজ্ঞান করতে আরম্ভ করে। সে ধরেই নিয়েছিল যেহেতু নারীরা শারীরিক দিক থেকে অত্যন্ত দুর্বল এবং কোনো পুরুষের হাতে তার মৃত্যু নেই, তাই সে হবে অপরাজেয়, অমর।
এই ধারণা থেকেই একসময় তার খুব ইচ্ছা হলো স্বর্গ-মর্ত্য জয় করার, দেবতাদের ওপর অত্যাচার শুরু করে দিল, তার অত্যাচারে স্বর্গের দেবতারা অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে।

দেবরাজ ইন্দ্রকে পরাজিত করে মহিষাসুরের অত্যাচার দেবতাদের আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। এভাবেই মহিষাসুর অপরাজেয় এবং অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠে, এরপর সে স্বর্গের দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়ন করতে শুরু করে।
অসুরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ দেবতারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন, তারা ব্রহ্মার দেওয়া কঠিন বরের ভেতরেই আলো দেখতে পান। ব্রহ্মা বর দেওয়ার সময় বলেছিলেন, কোনো পুরুষের হাতে মহিষাসুরের মৃত্যু হবে না, এখানে নারীর কথা উহ্য রাখা হয়েছে।

তার মানে নারীর হাতে মহিষাসুরের পরাস্ত হওয়ায় কোনো বাধা নেই। তখন ‘ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শিব’র আহ্বানে দশভুজা যে নারী মূর্তির আবির্ভাব হলো, তিনিই দেবী দুর্গা। যেহেতু মহাপরাক্রমশালী মহিষাসুরের সঙ্গে লড়তে হবে, দুই হাতে লড়াই করা সম্ভব নয় বলেই দেবী দুর্গাকে দশ ভুজারূপে কল্পনা করা হয়েছে। দুর্গা আবিভর্ূত হওয়ার পর দুর্গার দশ হাত মারণাস্ত্র দিয়ে সুসজ্জিত করে দেওয়া হলো। শিব দিলেন ত্রিশূল, বিষ্ণু দিলেন চক্র, ইন্দ্র দিলেন তীর ধনুক, তরবারি, ঢাল, বিষধর সর্প, তীক্ষ্ন কাঁটাওয়ালা শঙ্খ, বিদ্যুৎবাহী বজ্র শক্তি এবং একটি পদ্মফুল।

দেবী দুর্গা এবং মহিষাসুরের মধ্যে দশ দিনব্যাপী মহাযুদ্ধ হয়েছিল, মহিষাসুরকে পরাস্ত করা রীতিমতো অসাধ্য হয়ে উঠেছিল, কারণ সে মায়ার খেলা জানত, দুর্গাকে বিভ্রান্ত করতে সে একেকবার একেক জন্তু-জানোয়ারের রূপ ধারণ করছিল, দেবী দুর্গার জন্য যুদ্ধ ভীষণ কঠিন হয়ে উঠে যখন অসুরের ক্ষতস্থান থেকে রক্তের ফোঁটা মাটিতে পড়া মাত্র সেখান থেকে একই চেহারার আরেকটি অসুর জন্ম নিচ্ছিল।

এভাবে দুর্গার তরবারির কোপে রক্তাক্ত অসুরের প্রতি রক্তবিন্দু থেকে শত সহস্র অসুরের জন্ম হলো এবং দুর্গার দিকে ধেয়ে এলো। তখনই দেবী দুর্গা অন্য মূর্তি ধারণ করলেন, সে মূর্তির রূপ হলো আরও ভয়ঙ্কর, লম্বা জিভ, চার হস্ত কালী মূর্তি, যার প্রধান কাজই ছিল অসুরের রক্তবীজ মাটি স্পর্শ করার আগেই লম্বা জিভ বের করে চেটে খেয়ে ফেলা।

এভাবেই রক্তবীজ থেকে অসুরের উৎপত্তি বন্ধ হয়ে গেল এবং যুদ্ধের দশম দিনে অসুর মহিষের রূপ নিয়েছিল, উপায়ান্তর না দেখে মহিষের দেহ থেকে বেরিয়ে এলো বিশালদেহী মানুষের রূপে, তখনই দেবী দুর্গার হাতের ত্রিশূল মহিষাসুরের বক্ষ্যভেদ করল। মহিষাসুরের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে স্বর্গ, মর্ত্য, পাতালে শান্তি ফিরে এলো। স্বর্গের দেবতারা দেবী দুর্গার নামে জয়ধ্বনি করিলেন।

অকালবোধন : দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয় হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বাংলা আশ্বিন মাসে (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর)। শরৎকালে পূজা অনুষ্ঠিত হয় বলে দুর্গাপূজাকে ‘শারদীয় দুর্গোৎসব’ বলা হয়। মূল দুর্গাপূজা শুরু হয়েছিল বসন্তকালে, সেই পূজার আরেক নাম ‘বাসন্তী পূজা’। হিন্দু পুরাণে আছে, শরৎকালীন দুর্গাপূজার প্রচলন হয় রামায়ণ যুগ থেকে।

রাক্ষসরাজ রাবণ শ্রীরামের স্ত্রী সীতাদেবীকে হরণ করে লঙ্কায় নিয়ে গেছিল, রাজা রাম স্ত্রী সীতাকে রাক্ষসরাজ রাবণের বন্দীশালা থেকে উদ্ধার করতে যাওয়ার আগে ‘দেবী চণ্ডি’রূপী দুর্গার পূজা করেছিলেন। ১০৮টি নীলপদ্ম এবং ১০৮টি প্রদীপ জ্বালিয়ে পূজা করেছিলেন। (রামায়ণে বর্ণিত আছে, ১০৭টি পদ্ম জোগাড় হয়েছিল, শ্রীরাম ছিলেন ‘নীলনয়ন’, উপায়ান্তর না দেখে শ্রীরাম নিজের একখানি চোখ দান করতে উদ্যত হয়েছিলেন, শ্রীরামের ভক্তিতে দেবী দুর্গা সন্তুষ্ট হয়ে স্বয়ং শ্রীরামকে চোখ দান করা থেকে নিবৃত্ত করেন। ) বসন্তকালের পরিবর্তে শরৎকালে দুর্গাপূজা করেছিল বলেই এ পূজাকে ‘অকাল’বোধন বলা হয়।

বাংলা মুলুকে সার্বজনীন বা বারোয়ারি দুর্গাপূজা : বাংলায় শারদীয় দুর্গোৎসব কবে, কোথায় সর্বপ্রথম আয়োজিত হয়েছিল, তার সঠিক উত্তর জানা নেই। ইতিহাসবিদরা মনে করেন, ১৫০০ শতকের শেষের দিকে মহাধুমধামের সঙ্গে শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হয়েছিল। প্রচলিত গল্প অনুযায়ী, দিনাজপুর এবং মালদার জমিদার বাংলায় সর্বপ্রথম দুর্গাপূজার আয়োজন করেছিলেন। অপরাপর তথ্যসূত্রে জানা যায়, ১৬০৬ সালে তাহেরপুরের রাজা কংসনারায়ণ অথবা নদীয়া জেলার ভবানন্দ মজুমদার মহাশয় শরৎকালে দুর্গাপূজার আয়োজন করেছিলেন।

‘সার্বজনীন’ দুর্গোৎসব কখন থেকে শুরু হয়েছে অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৭৯০ সালে হুগলি জেলার গুপ্তিপাড়া গ্রামের বারোজন বন্ধুর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সর্বপ্রথম বারোয়ারি দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বারো বন্ধু মিলে পূজার আয়োজন করেছিল বলেই পূজার নাম হয়েছিল ‘বারোয়ারি’ অথবা ‘বারো পাল’ পূজা।

বারোজন বন্ধু পাড়া-প্রতিবেশীর কাছ থেকে চাঁদা তুলে পূজার আয়োজন করে যেখানে পাড়া-প্রতিবেশী সবাই অংশগ্রহণ করেছিল। নতুন ধারার এ বারোয়ারি পূজা বৃহৎ পরিসরে সর্বপ্রথম কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয় ১৮৩২ সালে, কাশিমবাজারের রাজা হরিনাথ মহাশয় ছিলেন এই বারোয়ারি পূজার মূল উদ্যোক্তা। কলকাতায় পূজা আয়োজনের পূর্বে রাজা হরিনাথ মহাশয় ১৮২৪ থেকে ১৮৩১ সাল পর্যন্ত দুর্গাপূজার আয়োজন করতেন পৈতৃক বাড়ি মুর্শিদাবাদে।™

বারোয়ারি পূজা ‘সার্বজনীন পূজা’র রূপ নেয় ১৯১০ সালে, যখন ‘সনাতন ধর্মোৎসাহিনী সভা’ আক্ষরিক অর্থেই সর্বসাধারণের কাছ থেকে চাঁদা তুলে কলকাতার বাগবাজারে সার্বজনীন দুর্গোৎসবের আয়োজন করেছিল। ধীরে ধীরে নয়, দুর্গাপূজার এ সার্বজনীন আয়োজন খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং একসময় ‘সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব’ হিসেবে বাংলা সংস্কৃতির অংশ হয়ে ওঠে।

দুর্গাপূজার মাধ্যমে বাংলা সংস্কৃতিতে নারীর ভূমিকাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, দুর্গাকে মাতৃরূপে বর্ণনার মাধ্যমে প্রথমত নারীর চিরন্তন মাতৃরূপকে মূল্যায়ন করা হয়েছে, দুর্গা কর্তৃক মহিষাসুর বধের মাধ্যমে নারীকে মহাশক্তির আধার রূপে চিত্রিত করা হয়েছে। দুর্গাকে বলা হয়েছে সৃষ্টির প্রতীক, সমৃদ্ধির প্রতীক, সুরক্ষার প্রতীক, হিন্দু মিথলজিতে দুর্গার আদলেই নারীকে চিত্রিত করা হয়েছে।

নারী সৃষ্টির প্রতীক, নারী সন্তান জন্ম দেয়, সন্তানের মুখে আহার তুলে দেয়, সন্তানকে প্রতিকূলতা থেকে সুরক্ষা করে, নারী সংসার গড়ে, সমাজ গড়ে, সমাজ-সংসারকে সব বিপদ-আপদ থেকে রক্ষাও করে, নারী বিপন্নকে আশ্রয় দেয়, নিরন্নকে অন্ন দান করে, এভাবেই নারী হয়ে ওঠে দুর্গার প্রতিমূর্তি।

দুর্গাপূজা মূলত দশ দিনের উৎসব। শুরু হয় দেবীপক্ষে, শুরুর পর্বের নাম ‘মহালয়া’, মহালয়াতে দেবী দুর্গাকে পিত্রালয়ে আবাহন জানানো হয়। মহালয়ার পরের দিন দ্বিতীয়া, এভাবেই তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এবং দশমী। এ দশ দিনের মধ্যে মহালয়া এবং সপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমী এবং দশমী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মহাষষ্ঠী : ষষ্ঠী পূজার দিনে দেবী দুর্গা চার ছেলেমেয়ে গণেশ, লক্ষ্মী, কার্তিক ও সরস্বতীকে সঙ্গে নিয়ে পৃথিবীতে আসেন, এই পৃথিবীতেই উনার পিতার বাড়ি। ষষ্ঠী পূজার সন্ধ্যায় মূলত মূর্তির উপর থেকে ঢাকা পর্দা সরিয়ে দেওয়া হয়, কুমোর তুলির এক টানে দেবী দুর্গার চোখ আঁকেন, যাকে বলা হয় ‘দৃষ্টিদান’, এরপর শুরু হয় ‘কল্পারম্ভ’, ‘বোধন’, আমন্ত্রণ এবং অধিবাস (এসবই পূজার একেকটি অধ্যায়)।

মহাসপ্তমী : সপ্তমীর সকালে নয় ধরনের বৃক্ষচারা পূজার মাধ্যমে প্রকৃতির প্রতীকী পূজা করা হয়, (প্রকৃতি হচ্ছে দেবী দুর্গার আরেক রূপ), এরপর ‘কল্পারম্ভ’, ‘মহাস্নান’ এবং সপ্তমী পূজা।

মহাঅষ্টমী : অষ্টমী পূজাতে দিনের পূজায় কল্পারম্ভ, মহাস্নান শেষে অষ্টমী পূজা হয়, এই দিনে ‘কুমারী পূজা’ হয় যেখানে বালিকাকে দেবী দুর্গারূপে আরাধনা করা হয়, মহাষ্টমীতে ভক্তরা দেবীর চরণে ফুল, বেলপাতার অঞ্জলি দান করে। মহাষ্টমীর সন্ধ্যায় ১০৮টি প্রদীপ জ্বালিয়ে সন্ধি পূজা করা হয় (সন্ধি : অষ্টম দিনের শেষ এবং নবম দিনের শুরু)। মহিষাসুর বধযুদ্ধে সন্ধির এ ক্ষণেই দেবি দুর্গা চামুণ্ডা বা কালীমূর্তির রূপ ধারণ করেছিলেন।

মহানবমী : সন্ধি পূজার সমাপ্তি পর্ব থেকেই মহানবমী শুরু হয়, দেবীকে ‘অন্নভোগ’ সাজিয়ে দেওয়া হয়, ভক্তদের জন্যও পঙ্ক্তি ভোজের আয়োজন করা হয়, পাড়ামহল্লায় খিচুড়ি, লাবড়া, চাটনি, পায়েস, সন্দেশের মহোৎসব লেগে যায়।

মহালয়া দিয়ে শুরু, দশমীতে এসে শেষ। বিজয়া দশমী হচ্ছে দেবী দুর্গাকে ঘটা করে বিদায় সংবর্ধনা জানানো, পিত্রালয় থেকে চোখের জলে ভেসে দেবীর স্বামীগৃহে প্রত্যাবর্তনের দিন। দশমীতে ভক্তকুলের মনে বিষাদের ছায়া নেমে আসে, স্বর্গ থেকে মা এসেছিলেন তার সন্তানদের মাঝে, মা আবার ফিরে যাবেন স্বর্গে, ভেবে ভক্তকুলের চোখ ভিজে ওঠে, মন ভারি হয়। দশমী পূজার আয়োজনে আড়ম্বর থাকে না, মঙ্গলঘটের জলে দেবীকে প্রতীকী বিসর্জন দেওয়া হয়, বিসর্জন হয়ে গেলে বউ ঝিয়েরা লাল পেড়ে শাড়ি পরিধান করে সিঁদুর, মিষ্টি, ধান দুর্বায় রেকাবি সাজিয়ে দেবী মূর্তির সামনে হাজির হয়।

মা’কে কপালে সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে, মিষ্টিমুখ করিয়ে, ধানদুর্বা, শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনিতে চারদিক মাতিয়ে তুলে, চোখের জলে ভেসে এয়োস্ত্রীরা মা’কে প্রণাম করে মায়ের চরণে সিঁদুরের কৌটা ছুঁইয়ে স্বামী সন্তানের মঙ্গল প্রার্থনা করে। এরপরই বিসর্জনের ঢাক বেজে উঠে, ঢাকের বোলে বাজে, ‘ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ, ঠাকুর যাবে বিসর্জন। ‘ অতঃপর দেবীমূর্তিকে খোলা ট্রাকে বসিয়ে ধূপ ধুনো জ্বালিয়ে ভক্তদের মিছিল বের হয়। সারা পাড়া, সারা শহর প্রদক্ষিণ শেষে মা’কে ‘গঙ্গারূপী যে কোনো জলাশয়ে (নদী, পুকুর, বিল, হাওর) ডুবিয়ে দেওয়া হয়। সেদিন থেকে আবার নতুন করে আগামী বছরের জন্য দিন গোনা শুরু হয়।

™ [তথ্য : ‘দুর্গাপূজা সৌমেন্দ্র চন্দ্র নন্দী, পাবলিশড ‘দ্য স্টেটসম্যান ফেস্টিভ্যাল ১৯৯১]